লন্ডন-নিউইয়র্কের তুলনায় ঢাকায় ছিনতাই-অপহরণ কম: সাঈদ খোকন
নিউইয়র্ক-লন্ডনের তুলনায় ঢাকা শহরে ছিনতাই-অপহরণের ঘটনা কম বলে দাবি করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্ক ও লন্ডন শহরে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের অনেক ঘটনা ঘটে। সেই তুলনায় ঢাকা শহর ভালোই আছে। ঢাকায় যে সমস্যা নেই, তা বলব না, সমস্যা রয়েছে। তবে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে। আগের অবস্থা বদলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক সমন্বয় সভায় সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, শহরে আগে সড়কবাতির আলো খুবই কম ছিল। সন্ধ্যার পর অলিগলি ভুতুড়ে অন্ধকার হয়ে যেত। তখন অপহরণ, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটত। মানুষ রাতে টর্চলাইট নিয়ে চলাচল করতেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সড়ক, অলিগলিতে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করেছেন, যাতে দু-তিন মাইল দূর থেকে সবকিছু দেখা যায়। এতে পুলিশের দায়িত্ব পালনে সুবিধা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অপরাধের পরিমাণ অনেক কমেছে।
সাঈদ খোকন বলেন, কোরবানির গরুর হাটে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক পশুর হাট চড়া মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। একটা মাঝারি গরু কিনলে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা হাসিল দিতে হয়। এর ওপরে যদি চাঁদাবাজি যুক্ত হয়, তা মানুষের জন্য খুব দুর্ভোগ হবে। আবার মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে কেউ যেন নিঃস্ব না হন, সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে।
সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন মনে করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি চাঁদাবাজি বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ১৫ থেকে ২০ ভাগ দাম কমানো সম্ভব। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।
ওয়ারী বিভাগ পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।