বনশ্রীতে সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী যুবক

লাশপ্রতীকী ছবি

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার সড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহত ব্যক্তির নাম সৌরভ খান (৩১)। তিনি রাজধানীর পল্টন এলাকায় অবস্থিত একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। স্বজন ও পুলিশের ধারণা, কোনো বেপরোয়া গতির গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী সৌরভ গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

সৌরভকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন তাঁর মামা সাইফুল ইসলাম। তিনি আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সৌরভ গতকাল সকালে খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থলে যান। মধ্যরাতে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে বনশ্রী এ ব্লকের শান্তা টাওয়ারের বিপরীত পাশের সড়কে তাঁর মোটরসাইকেলটিকে কোনো গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে তাঁর ধারণা। এতে সৌরভ ছিটকে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে তিনি দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সৌরভকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সৌরভকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেপরোয়া গতির কোনো ট্রাক বা অন্য কোনো গাড়ি সৌরভের মোটরসাইকেলটিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

সৌরভের গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। তাঁর বাবা মো. জাকির হোসেন। সৌরভের স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।