ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশের প্রতিবাদে চালকেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
আজ রোববার সকালে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়কে নেমে চালকদের বিক্ষোভ করার খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চালকদের জড়ো হতে দেখা গেছে। তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড় ও চাঁদ উদ্যান এলাকা রয়েছে।
সকালে যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা এলাকায় চালকেরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, সকাল ৯টার পর তাঁরা পৌনে এক ঘণ্টার জন্য সড়ক অবরোধ করেছিলেন। সে সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁরা সেখান থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ছাড়া ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড এলাকায় চালকেরা সকালে সড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা প্রেসক্লাবের উদ্দেশে রওনা দেন।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হয়। এ ছাড়া মিরপুর, মালিবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, আগারগাঁও, নাখালপাড়া, রামপুরা, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
গত শুক্রবার ঢাকার জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন চালকেরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।