নিরাপদ নগর গড়তে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। পাশাপাশি জাতিগতভাবে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে, ঢাকামুখী মানুষের স্রোত থামাতে হবে। তাহলেই এ শহরকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘নিরাপদ নগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। তিনি ঢাকাকে নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে আটটি বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। এগুলো হলো আইন প্রয়োগ বৃদ্ধি, নগর-পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার উন্নতি, প্রযুক্তির ব্যবহার ও পর্যবেক্ষণ, জনগণকে সম্পৃক্ত করা, শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানো, নীতিমালার পুনর্গঠন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি এবং জরুরি সেবা নিশ্চিতকরণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, মূলত দুর্নীতি বন্ধ, কঠোর আইনের প্রয়োগ ও দক্ষ বিচারব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকাকে নিরাপদ করা সম্ভব। এই তিনটি নিশ্চিত করা গেলে বাকিগুলোও স্বাভাবিকভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি মনে করেন।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, পৃথিবীর মেগা সিটির তালিকায় ঢাকা আয়তনের দিক থেকে ৪০তম, অথচ জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে প্রথম। এ শহরে ৫ লাখ গাড়ি চলার ব্যবস্থা আছে, অথচ চলে ১৬ লাখ গাড়ি। ঢাকায় রাস্তা, গাছ, জলাশয় অনেক কমছে, কিন্তু বাড়ছে মানুষ।
আলোচনা সভায় নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নগরায়ণ ও পরিবেশ সম্পাদক স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।
শেষে নগর উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা ছয় সাংবাদিককে ‘বেস্ট আরবান রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ দেওয়া হয়। পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকেরা হলেন নিউ এজের রাশেদ আহমেদ, বণিক বার্তার আল ফাতাহ মামুন, সমকালের অমিতোষ পাল ও লতিফুল ইসলাম, সারাবাংলা ডট নেটের রাজনীন ফারজানা এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নাজমুল সাঈদ।