তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আরিবা বিলকিসকে নিয়ে মেরিল বেবি-প্রথম আলো বর্ণমেলায় এসেছিলেন রাশেদুল হাসান ও আমেনা হক দম্পতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই আয়োজনে তাঁরা নিয়মিত দর্শনার্থী; আসেন ২০১৮ সাল থেকে। এই দম্পতি বললেন, কখন এই উৎসব হবে, তাঁরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন। শিশু-কিশোরদের ইতিহাসচর্চা ও মানসিক বিকাশের এমন আয়োজন আরও বেশি করা উচিত।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রথম আলোর আয়োজনে আজ শুক্রবার দিনভর চলে ‘বর্ণমেলা ২০২৫’। ঢাকার ধানমন্ডিতে সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত বর্ণমেলায় সহযোগিতা করছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড ‘মেরিল বেবি’।
এই আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী নানা খেলা, বাংলা স্ক্র্যাচ কর্মশালা, বর্ণরোবটের সঙ্গে শরীরচর্চা, বর্ণ উপহার, মস্ত বর্ণ, খাবারে-পোশাকে বর্ণ, কাগজের ইশকুল, বর্ণমুখোশ, বর্ণে নাগরদোলা, বাবুল্যান্ড, গুফি ওয়ার্ল্ড, কিডস টাইম, জলপুতুল পাপেট, ঢাকা পাপেট থিয়েটার, কাকতাড়ুয়া পাপেট, জাদু, গানসহ ছিল বিচিত্র আয়োজন।
কথা হয় মেলায় আসা বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে। এর মধ্যে ঢাকার ঝিগাতলা থেকে এসেছিলেন রাশেদুল হাসান ও আমেনা হক দম্পতি। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দিনভর সন্তান আরিবাকে নিয়ে আনন্দঘন সময় পার করেছেন বলে জানালেন তাঁরা।
দুই সন্তান আহতাম আনন ও আহনাফ এরনকে নিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে বর্ণমেলায় এসেছিলেন কর্মজীবী নারী আল হামরা পারভীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দিবসভিত্তিক এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কারণে সন্তানেরা দিবস ও ভাষা বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছে। অন্যান্য জাতীয় দিবসেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমন আয়োজন করা উচিত। এই মেলায় সন্তানদের নিয়ে তাঁর বোন যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন বলে জানান তিনি।
যাত্রাবাড়ী থেকে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বর্ণমেলায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী বেলাল নূরী। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে আয়শা বিনতে নূরী দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আছিয়া বিনতে নূরী প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। আর সাদেক আবদুল্লাহর বয়স তিন বছর। বেলাল নূরী বলেন, ‘সন্তানদের নিয়ে দিনভর প্রাণ খুলে আনন্দ করেছি।’ ঘনবসতির ঢাকায় ব্যতিক্রমী এমন উৎসব আরও হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঢাকায় খোলা জায়গার অভাব। তাই সরকারি-বেসরকারি যত মাঠ রয়েছে, সবই যেন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শিশুদের বিকাশে এসব মাঠ ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া জরুরি।
মিরপুর-২ নম্বর এলাকার বাসিন্দা হামিদুর রহমান বড় মেয়ে ওয়াসফিয়া (৫) ও ছোট মেয়ে ওয়ারিসাকে (১) নিয়ে মেলায় এসেছেন। শিশু-কিশোরদের জন্য ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি বললেন, ‘এমন উৎসব আরও বেশি হওয়া উচিত।’