শিল্পকলার ‘অ্যাক্রোবেট’ প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে শনিবার
গণজাগরণের শিল্প আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুক্রবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হলো সার্কাসের অন্যতম অনুষঙ্গ অ্যাক্রোবেট প্রদর্শনী। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছয় দিন ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে অ্যাক্রোবেট। সপ্তাহব্যাপী এই উৎসবের শেষ দিন শনিবার ডেমরা, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল ও ধলপুর এলাকায় অ্যাক্রোবেটের প্রদর্শনী হবে।
শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ দুটি অ্যাক্রোবেটিক দল মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রদর্শনী করে। একই দিন অন্য একটি দল কমলাপুর রেলস্টেশন, মানিকনগর ও মান্ডা এলাকায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করে।
একসময় গ্রামে গ্রামে সার্কাস দেখানো হতো। তবে এখন তেমন দেখা যায় না। ১৯৯৪ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় রাজবাড়ীতে অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে শিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেন কোরিয়া থেকা আসা প্রশিক্ষকেরা।
২০১১ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নতুন করে গোছানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে ২০ শিল্পী চীন থেকে এক বছর মেয়াদে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। ২০১১ থেকে সারা দেশে এই পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রদর্শনী করেছে এই দলটি।