রাজধানীর বাজারে বেড়েছে চিনি, ভোজ্যতেল, আটা, ডিম ও মুরগির দাম। বেশি বেড়েছে চিনির দর। খোলা চিনি কেজিপ্রতি ৭৭ থেকে ৮০ টাকায় উঠেছে। আর বাজারভেদে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮২ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তিন দিনে খোলা চিনির দাম কেজিপ্রতি ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। যাঁর দোকানে আগে কেনা চিনি ছিল, তিনি বিক্রি করছেন ৭৭-৭৮ টাকা কেজিতে। যে খুচরা বিক্রেতা নতুন করে কিনেছেন, তিনি বিক্রি করছেন ৮০ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজারের মুদিদোকানি মো. বাবলু প্রথম আলোকে বলেন, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনির দাম পাঁচ দিনে ৬০০ টাকা বেড়েছে। কোম্পানিগুলোও প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা ছিল। এখন তা ৭৫ থেকে ৭৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারে চিনির দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। এ কারণে দেশেও বাড়তি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেটের পশ্চিম তেজতুরি বাজার এলাকা ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, ডিমের দাম বেড়েছে ডজনপ্রতি (১২টি) ১০ টাকার মতো। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১০৫-১১০ টাকায় উঠেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি আরও ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে উঠেছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলে ছাড় কমিয়ে দিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। আটার দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকার মতো। প্যাকেটজাত আটা প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে।