দেবরের দা-বঁটির কোপে প্রাণ গেল বিধবার
রাজধানীর জুরাইনে দা ও বঁটি দিয়ে কুপিয়ে নাজমা বেগম (৩২) নামের এক বিধবাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত নাজমা বেগমের দেবর আবুল কালাম আজাদকে আটক করেছে। তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত নারীর পারিবার জানিয়েছে, নাজমা বেগম তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে পশ্চিম জুরাইনের আইজি গেটে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামী আবুল কাশেম আজাদ ছয় মাস আগে কিডনির সমস্যায় মারা যান। সকাল সাড়ে আটটার দিকে কথা-কাটাকাটির জেরে রান্নাঘরে নাজমাকে প্রথমে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তাঁর দেবর আবুল কালাম। একপর্যায়ে বঁটি ও দা নিয়ে নাজমাকে কোপান তিনি। এ সময় নাজমার তিন সন্তান ঘরে ছিল। তাদের বয়স ৫ থেকে ১১ বছর।
নাজমার চিৎকার শুনে বাড়ির সবাই এগিয়ে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজমা বেগমের ছোট দেবর নাসিরউদ্দিন সোহেল আজ দুপুরে হাসপাতালে প্রথম আলোকে জানান, আবুল কালামের সঙ্গে নাজমা বেগমের পারিবারিক কলহ চলছিল। নাজমার স্বামীর সম্পত্তি দখল করতেই দেবর আবুল কালাম তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।
পুলিশের শ্যমাপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, নাজমার স্বামীর জমির ভাগ নেওয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন আবুল কালাম। তাঁর সম্পত্তি ভোগদখল করতেই নাজমাকে খুন করেন তিনি। আবুল কালাম নাজমাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে শ্যামপুর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।