ডিএনসিসি: আরও এক সপ্তাহ তার কাটা চলবে
মেয়র আতিকুল ইসলামের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গুলশান অ্যাভিনিউর ঝুলন্ত তার অপসারণের অভিযান শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু অভিযানে সব তার কাটার পরিবর্তে সড়কে শুধু লম্বালম্বিভাবে (উত্তর থেকে দক্ষিণে) থাকা তার কাটা হচ্ছে। আড়াআড়িভাবে (পূর্ব থেকে পশ্চিমে) থাকা তার অপসারণে আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গুলশান-২ সুপার মার্কেটের সামনে থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণের অভিযান শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখার উদ্দেশ্যে প্রাথমিকভাবে ঢাকা উত্তরের গুলশান অ্যাভিনিউতে (পাকিস্তান দূতাবাস থেকে গুলশানের শুটিং ক্লাব পর্যন্ত অংশ) রাস্তার উভয় পাশের ঝুলন্ত তার অপসারণের জন্য এ অভিযান শুরু করা হয়।
সকালে হোটেল ওয়েস্টিনের বিপরীতে শুরু হওয়া অভিযানে ডিএনসিসির কর্মীদের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও তার কাটছিলেন। মেয়রের উপস্থিতিতে তখন গুলশান-২ সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেটের সামনে রাস্তার উত্তর পাশে ঝুলে থাকা সব তার কাটা হয়। ঘণ্টাখানেক মেয়র নিজে অভিযানে থেকে নেতৃত্ব দেন। মেয়র চলে যাওয়ার পরও পর্যায়ক্রমে ঝুলন্ত তার কাটা চলতে থাকে।
দুপুরের পর অভিযান শুরুর জায়গা (গুলশান-২ সুপার মার্কেট) থেকে শুটিং ক্লাবের দিকে এগোলে দেখা যায়, অভিযানস্থল থেকে গুলশান পিঙ্ক সিটি শপিং কমপ্লেক্স পর্যন্ত তার কাটা হয়েছে। অভিযান শুরুর জায়গা আর পিঙ্ক সিটির মধ্যবর্তী দূরত্ব আনুমানিক ২৫০ মিটার। পিঙ্ক সিটির পরেই গুলশান শহীদ তাজউদ্দীন স্মৃতি পার্ক (সাবেক ওয়ান্ডার্স ল্যান্ড পার্ক) থেকে গুলশান-১ হয়ে শুটিং ক্লাব পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশেই আগের মতোই তার ঝুলে রয়েছে।
অভিযানে এসে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘তারের জঞ্জাল ১০ বছর আগে যেমন ছিল, আজও এমনই রয়েছে। কিন্তু শহরে এটা চলতে দেওয়া যাবে না। ঝুলন্ত তারই যেন ঢাকার আসল চেহারা। এক দিকে পাঁচ তারকা হোটেল, আরেক পাশে তারের জঞ্জাল। ঢাকার এমন চেহারা আমরা চাই না।’