গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া, তবু অর্ধেকের বেশি যাত্রী বাসে
গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সরকারি নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার কথা আজ বুধবার সকাল থেকে। পুরান ঢাকা, মিরপুর, উত্তরা, সাভার, গাজীপুর রুটের বাসসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, গণপরিবহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে। অনেক বাসেই যাত্রীরা পাশাপাশি বসছেন। অনেক বাসে আবার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার পর অতিরিক্ত আরও পাঁচ থেকে সাতজন যাত্রী তোলা হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া ঠিকই নেওয়া হচ্ছে। অনেক বাসে আবার ৬০ শতাংশ নয়, দ্বিগুন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড থেকে মিরপুর রুটের তানজিল পরিবহনের বাসে উঠেছিলেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী ফয়সাল রহমান। ফার্মগেটে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি।
ফয়সাল রহমান বলেন, প্রথম দিকে দুটি আসনে একজন করে যাত্রী বসার জন্য অনুরোধ করেন চালকের সহকারী। অর্ধেক যাত্রী নেওয়া শেষ হলে পরে আবার ছয় থেকে সাতজন যাত্রী নেওয়া হয়। তাঁদের দাঁড়িয়ে যেতে বলা হয়। দাঁড়িয়ে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারী যাত্রীদের অনেকে ডাবল করে বসতে দেন। কিন্তু চালকের সহকারী সব যাত্রীর কাছ থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। অন্য সময় ভাড়া নেওয়া হতো ১০ থেকে ১৫ টাকা, আজ নিয়েছে ৩০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড থেকে মিরপুর, উত্তরা, সাভার, গাজীপুর রুটের বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক যাত্রী দেখা গেছে। অনেক বাসে আসনে যাত্রীদের পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা গেছে।
এসব বাসের মধ্যে কয়েকটি বাসে যাত্রীরা প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদের মুখে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার পর বাসের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন চালকের সহকারীরা।
অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কারণে যাত্রীরা কিছুটা বিড়ম্বনায়ও পড়েন। বাস পেতে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। বাস না পেয়ে অনেকে রিকশায়ও ওঠেন। তবে সে জন্যও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে। শ্যামলী শিশুমেলা থেকে ফার্মগেটে কর্মস্থলে আসছিলেন রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, বাস না পেয়ে রিকশায় অতিরিক্ত ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে তাঁকে আসতে হয়েছে।
যাত্রীদের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন রুটের বাসের সুপারভাইজাররা বলেছেন, বাসমালিকদের পক্ষ থেকে চালক-সহকারীদের জন্য মাস্ক ও যাত্রীদের জন্য হ্যান্ডস্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে। অর্ধেক যাত্রী ও নির্ধারিত ভাড়াও নেওয়ার নির্দেশনা আছে।