আদালত কক্ষে আসামিরা, রায় পড়া শুরু

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার এক আসামিকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে
ছবি : সাজিদ হোসেন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে আজ বুধবার। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঘোষণার নতুন দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় পড়া শুরু করেছেন।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। আসামিদেরও আদালত কক্ষে নেওয়া হয়েছে।

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় আদালতের কাছে ২৫ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।
ফাইল ছবি

মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক তিনজন।

আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা–কর্মী।

কারাগারে থাকা ২২ জন হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. আকাশ হোসেন, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, অমিত সাহা, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান ও এস এম মাহমুদ সেতু।
পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার এক আসামিকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে
ছবি : সাজিদ হোসেন

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’

আদালতে সাক্ষ্যদানকালে আবরারের বাবা বলেছিলেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে ডেকে নিয়ে ক্রিকেট স্টাম্প, লাঠিসোঁটা ও রশি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন। এ কারণে তাঁর ছেলে মারা যান। পরে আসামিরা মরদেহ হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে ফেলে রাখেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল, আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস সোবহান তরফদার, প্রশান্ত কুমার কর্মকার, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মশিউর রহমান। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাহাবুব আহমেদ, আমিনুল গণী, গাজী জিল্লুর রহমান, আজিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।