হার্টের রিং নির্ধারিত দামে সরবরাহের ব্যবস্থা নিতে বলল মানবাধিকার কমিশন
হৃদ্রোগীদের জীবনদায়ী চিকিৎসার সামগ্রী করোনারি স্টেন্ট (হার্টের রিং) নির্ধারিত দামে সরবরাহ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি যেসব আমদানিকারক ‘সিন্ডিকেট’ করে অনৈতিক বাণিজ্য করছে এবং যেসব অসাধু চিকিৎসক অর্থের লোভে অযথা রোগীদের অস্ত্রোপচার করে হয়রানি করছেন, তাঁদের কঠোর শাস্তি দিতে বলেছে কমিশন।
আজ সোমবার মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
১২ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক আদেশে ২৭টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ১৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ঔষধ প্রশাসন থেকে রিংয়ের দাম পুনর্নির্ধারণ করে দেওয়ায় আমদানিকারকেরা রিং সরবরাহ না করার হুমকি দিচ্ছে বলে মানবাধিকার কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে, রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকজন চিকিৎসক মিলে দেশে হার্টের রিংয়ের অনৈতিক বাণিজ্য করছেন। এ নিয়ে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট দেশে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি দামে রিং বিক্রি করছে। অন্যদিকে কিছু অসাধু চিকিৎসক অনৈতিকভাবে অযথা রোগীদের বর্ধিত মূল্যে অস্ত্রোপচার করছেন, যা রোগীদের জীবন নিয়ে খেলার শামিল।
কমিশন মনে করে, সমন্বিতভাবে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। হার্টের রিং কম খরচে সরবরাহ করা অত্যাবশ্যকীয়। পাশাপাশি কোনো সিন্ডিকেট যাতে জনস্বার্থবিরোধী অবস্থান নিতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। কোনো ধরনের সংকট যাতে রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।