উপজেলা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাতের প্রার্থিতা বহাল
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে অপর এক প্রার্থীর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে বিফল হয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন শাহাদাত হোসেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে।
তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেয়ারম্যান পদের অপর প্রার্থী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হয়ে আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে গোলাম শরীফ চৌধুরীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।
শাহাদাত হোসেনের পক্ষে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একরামুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তাপস কুমার বিশ্বাস ও তামান্না ফেরদৌস।
পরে আইনজীবী একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে শাহাদাত হোসেনকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে এক প্রার্থী আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে শাহাদাত হোসেনের প্রার্থিতা বহাল রইল। ২৯ মে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আইনি বাধা নেই। তিনি ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে মামলার তথ্য না থাকা, হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য, প্রয়োজনীয় তথ্য না দেওয়ায় যাচাই-বাছাই শেষে ৫ মে শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ওই ত্রুটি অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে মামলার বিবরণসহ আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশ যথাযথ উল্লেখ করে আপিল কর্তৃপক্ষ ৯ মে আপিল নামঞ্জুর করে সিদ্ধান্ত দেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পরে শাহাদাত হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। তিনি ছাড়া এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন আরও তিনজন। তাঁরা হলেন সেতুমন্ত্রীর আরেক ভাই আবদুল কাদের মির্জার সমর্থিত প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগ সমর্থক ওমর আলী। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁদের তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষিত হয়।