বাউফলে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার এক মা (৩৫) ও তাঁর মেয়েকে (১৭) গত শনিবার রাতে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। দুজনকে ওই রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগের কর্মী নূর আলম মল্লিককে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ওই মা ও তাঁর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে পাশের একটি এলাকায় বেড়াতে যান। বিকেলে একই মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় লঞ্চঘাট এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁদের পূর্বপরিচিত হারুন মৃধা নামের এক যুবক তাঁদের তেঁতুলিয়া নদীতে বেড়ানোর জন্য ট্রলারে করে নিয়ে যান। বেড়ানো শেষে সন্ধ্যার দিকে তাঁদের একটি চরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেই সেখানে যান যুবলীগের কর্মী নূর আলম মল্লিক ও সোহেল মৃধা (৩২) এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রহিম মীর (৩৪)। এই তিনজনসহ ছয় যুবক মা ও মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ডাকাত ভেবে তাঁদের আটকের চেষ্টা চালান। তখন পাঁচজন পালিয়ে গেলেও নূর আলম মল্লিককে তাঁরা ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২টার দিকে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং নূর আলম মল্লিককে আটক করে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নূর আলম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নামও বলেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।