টিনের ঘরে আলোর ঝলকানি
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ডে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি। গত বছর জেএসসি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। চলতি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়ও ৪০ জন পরীক্ষার্থী ওই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এসএসসিতেও প্রতিবছর বরিশাল বোর্ডে সেরা দশের মধ্যে তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির অবস্থান থাকে। তবে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো খুবই দুর্বল ও নড়বড়ে হলেও প্রতিবছর ‘টিনের ঘরে যেন আলোর ঝলকানি’ বাড়ছে।
তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, জেএসসি পরীক্ষায় এবার এ বিদ্যালয় থেকে ৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। অপর চারজন এ পেয়েছে। আর চলতি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৪৮ জন পরীক্ষার্থী এ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে ৪০ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। অপর আটজন এ পেয়েছে। এসএসসিতেও গত বছর এ বিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ।
তবে বিদ্যালয়ের প্রতিবছর এত ভালো ফলাফলেও তৃপ্ত নন ওই একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মল্লিক মোহাম্মদ আইউব। তিনি প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায়, জেএসসি ও এসএসসিতে প্রতিবছরই ভালো ফল করছে। তবে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন সেই টিনের ঘরেই দেড় যুগ ধরে তাদের পাঠদান চলছে। এতে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে
ভিজে টিনের ঘরে আলোর ঝলকানি বাড়ছে। তবুও প্রশাসনের কাছে এত আবেদন করেও মিলছে না একটি পাকা ভবন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার আজাদ জানান, ফলাফল ভালো হলেও শিশুশ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থীকে টিনের ঘরে গাদাগাদিতে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এটা খুবই কষ্টের ও লজ্জার বিষয়।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম প্রথম আলোকে জানান, এ বিদ্যালয়টি প্রতিবছর বরিশাল বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে পেছনে ফেলে ফলাফলে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে অবাক করার ঘটনা হচ্ছে এ বিদ্যালয়ের কোনো পাকা ভবন নেই। টিনের ঘরে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। যা খুবই অমানবিক। তাই দ্রুত এ বিদ্যালয়ে অন্তত একটি তিনতলা ভবন প্রয়োজন।