মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের নূরানী মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষকের নাম জয়নাল আবেদিন (৩৫)। তিনি ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন ও শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল সকালে পড়া শেষ করে ছাত্রীটি বাড়িতে আসে। পরে বেলা একটায় ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় নূরানী কায়দা পড়তে যায়। বেলা দুইটায় মাদ্রাসা ছুটি হয়। তখন ছাত্রীকে বালতিতে পানি ভর্তি করতে বলেন জয়নাল আবেদিন। একপর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছাত্রীর হাতে ১০ টাকার একটি নোট দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি।
ছাত্রীর মা বলেন, তাঁর মেয়ে বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার কাছে ঘটনা শুনে আশপাশের লোকজন জয়নালের বাড়ি ঘেরাও করেন। কিন্তু কয়েকজন প্রভাবশালী জয়নালকে কৌশলে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, প্রথমে তাঁরা মেয়েকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মর্তুজা বেগম বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।