মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে সংঘর্ষের বলি ভাগনে
ঈদে মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পড়ে গুরুতর আহত হন রইজ ফকির (৩৩)। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে তিনি মারা যান।
সাতক্ষীরার তালার নেহালপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত রোববার ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রইজ ফকির (৩৩) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, নেহালপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের সঙ্গে ২৭ শতক জমি নিয়ে প্রতিবেশী জাকির শেখের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। গত রোববার সকালে ওই জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে রইজ ফকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত রইজের স্ত্রী রুবিনা বেগম জানান, ঈদে পরিবার নিয়ে একই গ্রামে মামা জাকিরের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন রইজ ফকির। সেখানে জমি নিয়ে বিরোধে আতিয়ার রহমানের পক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁর স্বামী রইজের মাথায় আঘাত করে। এতে রইজ গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা গেছেন।
স্বামী হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে তিনি এখন দিশাহারা। আক্ষেপ করে বলেন, ‘আতিয়ারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীরে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আল্লাহ ওদের বিচার করবে।’
তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে শনিবার ইউপিতে সালিসের জন্য দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রইজ ফকির মারা গেছেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, রোববার সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে দুপক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছিল। রইজ ফকির মারা যাওয়ায় জাকির শেখের পক্ষের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। ইতিমধ্যে হত্যার অভিযোগে আতিয়ার পক্ষের মনুসুর শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।