ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বসছে ১১ পশুর হাট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি আজ বুধবার এসব হাট বসানোর সুপারিশ করেছে।
ডিএসসিসি সূত্র বলছে, এবার ১৪টি অস্থায়ী হাট বসাতে গণমাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এর মধ্যে সরকার–নির্ধারিত দরের চেয়ে ১১টিতে বেশি দাম পেয়ে এসব হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১০টি অস্থায়ী হাটের দরপত্র আহ্বান করার পর করোনা মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পাঁচটি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে তারা ডিজিটাল হাটও চালু করেছে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম শহরে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। হাটের পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার ব্যবস্থা করার কথা বলেছিল এই কমিটি। তবে কমিটির সুপারিশ ঢাকার দুই সিটির কেউ আমলে নেননি।
ডিএসসিসির অস্থায়ী হাটগুলো হলো হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ–সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের মাঠ–সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট–সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২–এর খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব–সংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম–সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার–সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ–সংলগ্ন খালি জায়গা, ধূপখোলা মাঠ–সংলগ্ন খালি জায়গা, সাদেক হোসেন খোকা মাঠের পাশে ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল–সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ–সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।
পশুর হাট বসানোর বিষয়টির সার্বিক তত্ত্বাবধান করে সম্পত্তি বিভাগ। সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কমিটি ১১টি হাট বসানোর সুপারিশ করেছে। এখন কেবল মেয়র চাইলেই হাটের সংখ্যা কমতে পারে। তবে মেয়র দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ ১১টি হাটই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, তিন দফায় দরপত্র জমা নেওয়ার পর হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ১১টিতে সরকার–নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে। তাই কমিটি ১১টি হাট বসানোর সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে অনলাইন হাট চালু করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।