জাফলংয়ে টুরিস্ট গাইডের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলং থেকে তরুণ এক টুরিস্ট গাইডের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর জাফলং বন বিভাগের গ্রিন পার্ক এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাদ্দাম হোসেন (২৬) নামের ওই তরুণের বাড়ি গোয়াইনঘাটের কালিনগর গ্রামে। তিনি জাফলং টুরিস্ট গাইড সমিতির সদস্য ও একজন ফটোগ্রাফার। জাফলংয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ছবি তুলতেন সাদ্দাম। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, তাঁকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর তলপেটে ছুরির ক্ষত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছোরাও উদ্ধার করে পুলিশ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সিলেটের জাফলংসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে লোক সমাগম প্রায় নেই। সাদ্দামকে সকালবেলা কারা ডেকে নিয়েছিল, কী কারণে হত্যা করল-এ বিষয়ে সাদ্দামের পরিবারের সদস্যরা কিছু বলতে পারছেন না। নিহত সাদ্দামের খালাতো ভাই জাফলং টুরিস্ট গাইড ও স্টুডিও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জাফলংয়ে পর্যটকদের যাতায়াত কম। পর্যটকদের গাইড দেওয়া কিংবা ছবি তোলার ব্যস্ততাও নেই। বুধবার সকালে নাশতা শেষে ক্যামেরা নিয়ে পর্যটকদের ছবি তোলার কথা বলে সাদ্দাম জাফলংয়ের সংগ্রামপুঞ্জি এলাকায় যান। সেখান থেকে দুপুরে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পর তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে গ্রিন পার্ক এলাকায় সাদ্দামের লাশ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন।
খবর পোয়ে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সন্ধ্যার পর লাশ উদ্ধার করে। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারী শনাক্ত করতে পুলিশ তৎপরতা চালিয়েছে।’