লঞ্চডুবির ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা
বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান মামলার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গতকাল সকাল নয়টার দিকে এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সদরঘাটের কাছেই ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানান, ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চটি মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চ ময়ূর-২ জব্দ করা হয়েছে। তবে লঞ্চের চালক পালিয়ে গেছেন।
সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস নৌবাহিনীর ডুবুরি দল বিআইডব্লিউটিএর ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (অপারেশন) এম এ হালিম বলেন, ‘আমরা সকাল ছয়টা থেকে থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। সমন্বয় করছে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। লঞ্চে কোনো মৃতদেহ আছে কি না, সে ব্যাপারে উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ডুবন্ত লঞ্চটির উদ্ধারকাজ চালাবে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী দল। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করছি।’