বাঘারপাড়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী আহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের বাঘারপাড়ায় রাতের আঁধারে রাজিয়া খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে তাঁর স্বামীকেও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের দাগ রয়েছে।

নিহত রাজিয়া যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের স্ত্রী। রাজিয়ার বাবার বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে। মাস দেড়েক আগে রাজিয়ার সঙ্গে শহীদের বিয়ে হয়। শহীদ বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের লস্কর ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ভাটার পাশে একটি টিনের ঝুপড়ি ঘরে তাঁরা বসবাস করেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শহীদ হচ্ছেন রাজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী। আগের স্বামীর ঘরে তাঁর একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে জহুরপুর গ্রামে ইটভাটার পাশে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন শহীদ-রাজিয়া দম্পতি। শহীদ ওই ভাটায় ইট কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। রাতে ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত ঘরে প্রবেশ করে শহীদ ও রাজিয়াকে মারধর করে। পিটুনির একপর্যায়ে রাজিয়া মারা যান। শহীদ আহত হন।

নিহত রাজিয়ার মা রোকেয়া খাতুন বলেন, গতকাল সোমবার তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন রাজিয়া ও শহীদ। দুপুরে খেয়ে তাঁরা বিকেলে বাঘারপাড়ায় ফিরে যান। সকালে তাঁরা মুঠোফোনে খবর পান, রাজিয়া খুন হয়েছেন। কেন, কারা এ ঘটনা ঘটাল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

খবর পেয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে আসে। তারা রাজিয়ার লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, শহীদ আগে চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা করতে পারে। হামলায় শহীদের স্ত্রী রাজিয়া নিহত হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহীদকে আটক করা হয়েছে।