করোনায় শিক্ষায় ঝরে পড়া বাড়বে, বাজেটে বেশি বরাদ্দের দাবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিক্ষা খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর প্রভাবে ঝরে পড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যা বাড়বে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রের অর্জনকে ধরে রাখা এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট শিক্ষা খাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান।
আজ বুধবার ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠনগুলোর এই মোর্চার পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বরাবর স্মারকলিপি দিয়েও এই দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার তথ্য তুলে ধরে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, করোনার প্রভাবে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া, বাল্যবিবাহ, অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ, শিশু শ্রম এবং পুষ্টিহীনতা বাড়বে। ভবিষ্যতে শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে ঝুঁকি দেখা দেবে। এটি মাথায় রেখেই শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। করোনা-ঝুঁকি প্রশমন ও শিক্ষার পুনরুদ্ধারে দুই-তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
শিক্ষকদের সহায়তা ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া, শিক্ষাক্ষেত্রের সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানো, শিক্ষা গবেষণা এবং সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার করাসহ আরও কিছু দাবি জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান।
রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, শুধু বাজেট বরাদ্দ করলেই হবে না, বরাদ্দ করা অর্থের সুষ্ঠু ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভার্চ্যুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে আরও যুক্ত ছিলেন সাংসদ অ্যারমা দত্ত, গণসাক্ষরতা অভিযানের সহসভাপতি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এহছানুর রহমান, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক শফিকুল ইসলাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের পরিচালক (রিসার্চ) খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক কে এম এনামুল হক।