নড়াইলে এক আ.লীগ নেতা হত্যায় আরেক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নজরুল শিকদারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানা-পুলিশের একটি দল রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাঁকে নড়াইল আমলি আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নজরুল ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এবং লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ওই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেবদাস ও এসআই আতিকুজ্জামান।
এসআই মিলটন কুমার দেবদাস বলেন, ওই হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি নজরুল শিকদার। মামলায় তাঁকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলার পর থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। আজ সকাল আটটার দিকে তাঁকে লোহাগড়া থানায় নেওয়া হয়। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, নজরুলকে থানায় নিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের নিহত নেতা বদর খন্দকারের কর্মী-সমর্থকেরা থানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই ইউনিয়নের টি চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কে বদর খন্দকারকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত নয়টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য। এ হত্যার ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে পরের দিন নিহত বদরের স্ত্রী নাজমিন বেগম লোহাগড়া থানায় মামলা করেন।
পুলিশ বলছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তরের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা তিনটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।