চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ পরিবারকে সহায়তা ডিএসসিসির
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৩১টি পরিবারকে চাকরি, দোকান ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএসসিসির নগর ভবনে এ সহায়তা দেন ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এই ৩১টি পরিবারের মধ্যে ২১ জনকে ডিএসসিসিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। চারজন দুই লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। ডিএসসিসির মালিকানাধীন দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন দুজন। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষিত চারজনকে যোগ্যতা অনুসারে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন সাঈদ খোকন।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। শতাধিক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ছাড়া অনেকের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। আজ এ অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে থেকে যাঁরা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা চেয়েছেন, তাঁদের এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোরে আয়োজিত সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেছি। আমার কাছে যে ৩১টি পরিবার আবেদন করেছে, সেসব পরিবারের সদস্যদের চাহিদা বা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিয়েছি। কয়েকজন দোকান চেয়েছেন, তাঁদের দোকান এবং আর্থিক সহযোগিতা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘মেয়র হিসেবে গত পাঁচ বছরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। এর মধ্যে চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ড একটি। ওই দিন অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই সেখানে ছুটি গিয়েছি। কিন্তু কাউকে বাঁচাতে পারিনি। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র। তিনি বলেন, চুড়িহাট্টার আগে ২০১০ সালে নিমতলীতে রাসায়নিক গুদাম থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তখন ১২৪ জন মারা যান।
এ সহায়তা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক। এ সময় সংস্থাটির সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইউসুফ আলী সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।