'শৈশব থেকেই ক্রিকেটপাগল'
এনামুল হক-তহমিনা আকতার দম্পতির তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে তৌহিদ হৃদয়ের শৈশব থেকেই ক্রিকেটের প্রতি অন্য রকম ঝোঁক ছিল। সারাক্ষণ ক্রিকেট নিয়ে মাঠে পড়ে থাকার কারণে বগুড়া জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় খারাপ করেন। পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করে দেওয়ায় প্রচণ্ড মন খারাপ ছিল তাঁর। তবে পড়াশোনা আর ক্রিকেট খেলা সমানতালে চালিয়েছেন। অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্বজয় করায় আনন্দে ভাসছে তাঁর পরিবার।
তৌহিদ হৃদয় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার লাংলু পশ্চিমপাড়া গ্রামের ছেলে। তাঁর বাবা এনামুল হক দুপচাঁচিয়ার তালোড়া খাদ্যগুদামের উপসহকারী খাদ্য পরিদর্শক। মা তহমিনা আকতার গৃহিণী।
গত সোমবার বগুড়ার শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসা মা তহমিনা আকতারের সঙ্গে কথা হয় তাঁর ছেলে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে। তহমিনা বলেন, একমাত্র ছেলে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা করে সে বড় চাকরি করবে। কিন্তু শৈশব থেকেই হৃদয় ক্রিকেটপাগল। মা বলেন, ‘শুরু থেকেই টেলিভিশনের সামনে বসে দোয়াদরুদ পড়ছিলাম। মনে মনে চেয়েছিলাম, সবাই ভালো খেলুক।’
বাবা এনামুল বলেন, ‘বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বুকটা গর্বে ভরে যাচ্ছে। সবাই প্রশংসা করছে। এবার পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী তৌহিদ হৃদয়।