পটুয়াখালীতে সাজাপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য গ্রেপ্তার
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার আলীপুর বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি সদস্যের নাম বেল্লাল মিয়া ওরফে বেল্লাল ওরফে রুবেল (৩৬)।
আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে বেল্লালকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়। পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল জেলা পুলিশের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
বেল্লালের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বৈদ্য টিলার চংড়াছড়ি গ্রামে।
সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, বেল্লাল ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর নামে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানায় যাবজ্জীবন সাজার পরোয়ানা রয়েছে। ঘটনার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। বেল্লাল ঢাকা, সাভার, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক ছদ্মনাম ব্যবহার করে আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদও তৈরি করেন। সবশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে রুবেল নাম ব্যবহার করে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার কুয়াকাটা এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ নেন।
এসপি মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে বেল্লালকে নজরদারিতে রাখছিল। এ অবস্থায় তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি দল পটুয়াখালী জেলা পুলিশের সহায়তার বেল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বর্তমান সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে যাচাই বাছাই করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশের মতো খাগড়াছড়িতেও জেএমবি সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটায়। বোমা হামলার ঘটনায় খাগড়াছড়ি থানায় ওই দিন করা মামলায় বেল্লাল আসামি ছিলেন। ওই মামলায় রায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এর মধ্যে বেল্লাল পলাতক ছিলেন।