শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট কেন নয়
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সেলর নিয়োগে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সচিবসহ ৬ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অবক্ষয় রোধ, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৪ নভেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানিতে অংশ নেন।
পরে আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধান অনুসারে শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন সময়ে হতাশায় ভোগেন, কেউ ইভ টিজিংয়ের শিকার হন, কেউবা আবার মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়েন। অথচ তাঁরা এ বিষয়গুলো পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি কাউন্সেলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট থাকেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ বা কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারেন। বিপথ থেকে ফিরতে পারেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলর বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আছেন। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।