আজ শুভ বড়দিন
আজ শুভ বড়দিন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। এই দিনে খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু জন্ম নিয়েছিলেন।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও আজ আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করবেন। আজ সরকারি ছুটির দিন। গত কয়েক দিন নগরের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তরুণ-তরুণীদের কীর্তনের দল ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়িয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেন।
টানা অবরোধে অনেকেই এবার গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। গতকাল সন্ধ্যায় অনেককে গ্রামের বাড়ির দিকে ছুটতে দেখা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) গিয়ে দেখা যায়, বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন চলছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর প্রস্তুতি সবে শেষ হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।
গির্জার মূল ফটকের বাইরে ছোটখাটো একটি মেলা বসেছে। মেলার দোকানগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তা ক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশু-মরিয়ম-যোসেফের মূর্তিসহ নানা জিনিস বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গির্জার পাশের কবরস্থানে অনেককে মোমবাতি জ্বালাতে দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই দফায় বিশেষ প্রার্থনা (খ্রিষ্টজাগ) চলে গির্জায়। আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে তিন দফায় বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান গির্জার পালক পুরোহিত আলবার্ট টমাস রোজারিও।
গতকাল বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, এ দেশের খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে যে ভূমিকা রাখছেন, তা প্রশংসার দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, বড়দিন দেশের খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য সম্প্রীতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ দেশের সব মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সামজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন ও মহাসচিব নির্মল রোজারিও।