২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

শিশু ও নারী নির্যাতনের বিষয়ে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী

বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী-পুরুষনির্বিশেষে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কোনো শিশু ও নারী নির্যাতনের শিকার না হয়।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিনি রোকেয়া পদক-২০১৯ বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেবল আমাদের দেশে নয়, আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও দেখেছি যে শিশু ও নারীদের ওপর নির্যাতন মানসিক রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তাই নারী-পুরুষ প্রত্যেককেই সচেতন থাকতে হবে, যাতে কোনো শিশু ও নারী নির্যাতিত না হয়।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, যাতে শিশু ও নারীরা সুরক্ষিত থাকে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত পুরুষেরাই নারীর ওপর নির্যাতন চালায়। তাই তাদের চিন্তা করা উচিত যে তাদেরও মেয়েশিশু রয়েছে এবং তাদের সন্তান যদি অন্য কারও দ্বারা নির্যাতিত হয়, তাহলে তারা কী করবে। সে কারণেই এ ব্যাপারে সচেতনতা খুবই জরুরি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেগম রোকেয়া পদক বিজয়ীরা। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, ঢাকা, ০৯ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেগম রোকেয়া পদক বিজয়ীরা। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, ঢাকা, ০৯ ডিসেম্বর। ছবি: পিআইডি

নারী পুনর্জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৩৯তম জন্ম এবং ৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সারা দেশে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হচ্ছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।

মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার স্বাগত বক্তৃতা এবং রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

রোকেয়া পদক গ্রহণকারীদের পক্ষে বেগম সেলিনা খালেক পদক গ্রহণের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নারী ও সামাজিক উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন নারীকে রোকেয়া পদক-২০১৯ প্রদান করেন।

পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বেগম সেলিনা খালেক, অধ্যক্ষ শামসুন নাহার, ড. নূরুন নাহার ফয়জুন্নেছা (মরণোত্তর), মিস পাপড়ি বসু ও বেগম আখতার জাহান।