২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কথা আজ আমরা স্মরণ করছি। সেদিন রাতে আমরা আমাদের প্রিয় ফারাজকে হারিয়েছি। দুই বন্ধুকে বিপদে ফেলে না গিয়ে ফারাজ যে ব্যতিক্রমী সাহসিকতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও অসামান্য মূল্যবোধের নজির রেখে গেছে সে জন্য আমরা ভীষণভাবে গর্বিত। একজন বাংলাদেশি মুসলিম হওয়ার কারণে জঙ্গিরা তাঁকে ঘটনাস্থল ছেড়ে যেতে বললেও ফারাজ তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং বন্ধুদের রক্ষায় নিজের জীবনই উৎসর্গ করেছে। ওই রাতে ফারাজ যে সত্যিকারের উদাহরণ তৈরি করেছে, বাংলাদেশ সেই মূল্যবোধই ধারণ করে।
১ জুলাই হিতাহিতজ্ঞান শূন্য ওই হামলায় ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশের নিরীহ নাগরিকদের প্রাণহানিতে আমরা গভীর দুঃখপ্রকাশ করছি।
সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি গ্রহণ করায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিন্ন অবস্থান নিতে বাংলাদেশের জনগণকে প্রচণ্ডভাবে চালিত করেছে ও ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও এর মদদদাতাদের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই বিরামহীনভাবে অব্যাহত থাকবে।
পরিবারের পক্ষে
যারেফ হোসেন
ফারাজ হোসেনের ভাই