মোহাম্মদপুর এলাকায় ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার পুলিশ কনস্টেবলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কনস্টেবলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ।
আসামির নাম, ফজলুল শেখ (৩৯)। তিনি ডিএমপির ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনার সুজানগরের দুর্গাপুর গ্রামে। বাবার নাম সোনাই শেখ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন মজুমদার শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ডিবি পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে কনস্টেবল ফজলুল শেখকে আদালতের অনুমতি নিয়ে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কাল রোববার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
আদালত সূত্র বলছে, পুলিশ কনস্টেবল ফজলুল শেখকে বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি নিয়ে আসামি ফজলুল শেখের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ এনে সোহেল নামের এক ব্যক্তি গত ২০ নভেম্বর পুলিশ কনস্টেবল ফজলুল শেখসহ চারজনের নামে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় বাবুর্চি সোহেল মোহাম্মদপুরের পাবনা হাউস গলির জনৈক কাইয়ুমের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সহকর্মী বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন আসামি ফজলুল শেখসহ তিনজন সেখানে আসেন। সোহেল ও বাবুলকে আটক করেন আসামি ফজলুল শেখসহ অন্যরা। তখন ফজলুলসহ অন্যরা নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেন। বাবুর্চি সোহেল ও তাঁর সহকর্মী বাবুলের দেহ তল্লাশি করে তাঁদের কাছে থাকা সাড়ে ৭ হাজার টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ফজলুলসহ অন্যরা। তাঁরা চলে যাওয়ার পরে এক লোক এসে জানায়, এই লোকেরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের সামনেও এভাবে ডিবি পরিচয় দিয়ে টাকা-পয়সা নিয়েছে। তখন এলাকার লোকজন ধাওয়া করে ফজলুল শেখকে আটক করে।
গত ২১ নভেম্বর কনস্টেবল ফজলুল শেখকে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।