কীটনাশক পানে ছাত্রীর মৃত্যু
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় কীটনাশক পানে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ছাত্রীর নাম আফরিন (১৫)। সে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিবি আমেনা খাতুন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে চলমান জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। আফরিনের বাবা উপজেলার বড়বাদুরা গ্রামের আসলাম হাওলাদার।
পরিবারের দাবি, চলমান জেডিসি পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বহিষ্কার হয় আফরিন। এরপর লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ জানায়, মা–বাবা দুজনই বিদেশে থাকায় আফরিন বড়বাদুরা গ্রামে নানাবাড়িতে থাকত।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার চলমান জেডিসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার পৃথক দুটি কেন্দ্রে নকলসহ ধরা পড়া দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে আফরিন নামের এক ছাত্রীকে কেন্দ্রের সচিব বহিষ্কার করেন। পরে ওই ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে আফরিনকে তাঁর স্বজনেরা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনে। স্বজনেরা জানায়, সে বিষপান করা করেছে। এরপর তাকে ওয়াশের পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সে মারা যায়।
কামাল হোসেন বলেন, ওয়াশের সময় পাওয়া বিষের নমুনা থেকেও তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, আফরিন ধানখেতে দেওয়া কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে।
ওই চিকিৎসকের ধারণা, দুপুরের দিকে ওই ছাত্রী বিষপান করে। আর তাকে হাসপাতালে আনা হয় বেশ দেরিতে। এ কারণে তাকে বাঁচানো যায়নি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আফরিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান ওসি।