মাইন অপসারণে ১৭০০ সেনা সদস্যের সৌদি যাওয়ার সম্ভাবনা: সেনাপ্রধান
মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। আজ মঙ্গলবার সকালে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে চারটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ‘হোম অব স্যাপার্স’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেনাপ্রধান কাদিরাবাদ সেনানিবাসের প্যারেড মাঠে এসে পৌঁছালে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় বগুড়া এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাইফুল আলম, কাদিরাবাদ সেনানিবাসের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূমিকার প্রশংসা করে কোরের প্রত্যেক সদস্যকে অভিনন্দন জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘মাইন অপসারণে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৭০০ সদস্য সৌদি আরবে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আন্তরাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এই জনবল নিয়োগ করা হবে। সরকার ইতিমধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে চুক্তি সম্পাদনের জন্য সমঝোতা স্মারক পাঠিয়েছে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধানের সম্মানে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। প্যারেডে সালাম গ্রহণের পর সেনাপ্রধান ১৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৫ ও ৭ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের রেজিমেন্টাল কালার পতাকা উন্মোচন করেন। পরে তিনি উপস্থিত সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
বক্তৃতায় সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ বলেন, ‘মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং সেনাবাহিনীর দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ইউনিটগুলোকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী বিশেষ কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ কোনো চুক্তি করেনি বা করবে না। সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করতে যে দেশের কাছে যতটুকু সহযোগিতা দরকার, তা গ্রহণ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও পারমাণবিক স্থাপনায় কাজ করার জন্য সেনাবাহিনীর একটি দক্ষ ইউনিট গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’–এর আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তন করা হবে।