সমাধান হওয়া ইস্যু হালে পানি পাবে না: ঐক্যফ্রন্টকে তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, যে ইস্যু সমাধান হয়ে গেছে, সেই ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমে হালে পানি পাবেন না।
আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে ঐক্যফ্রন্টের ডাকা জনসভার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে দেশের ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি সভা হয়। এই সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে প্রচণ্ড অনৈক্য। আবরার হত্যা নিয়ে তারা একটু ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আবরার হত্যার পর সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট আবরার হত্যা নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু এটি আবরার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদের জন্য নয়, বরং নিজেদের রাজনীতি করার স্বার্থেই। যেকোনো ইস্যু নিয়ে তাদের ঐক্যটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তাদের স্বার্থে তারা এই সভা আহ্বান করেছে। ঐক্যফ্রন্টকে বলব, যে ইস্যু সমাধান হয়ে গেছে, সেই ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমে হালে পানি পাবেন না।’
ডিজিটাল হবে ক্যাবল নেটওয়ার্ক
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। কিন্তু ক্যাবল নেটওয়ার্ক এখনো ডিজিটাল হয়নি। আমরা এই বিষয়ে সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তারা একটি সময়সীমার মধ্যে পুরো ক্যাবল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পূর্বসভার ধারাবাহিকতাতেই আজকের সভা।’
সম্প্রচার অঙ্গনে শৃঙ্খলা আনতে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বহু অনিয়ম ছিল, সেগুলো দূর করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করা হয়েছে । বিশেষত সম্প্রচারের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের সিরিয়ালগুলো মানা হতো না। দেখা যেত যে বিদেশি টেলিভিশনে সিরিয়াল আগে এরপরে বাংলাদেশি টেলিভিশনের সিরিয়াল। বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও অতীতে বাংলাদেশের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সিরিয়াল কোনোভাবেই মানা হচ্ছিল না।’
তথ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক মাস আগে টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। তখন টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার শুরুর তারিখ অনুযায়ী ক্রম ঠিক করে কেবল অপারেটরদেরসহ সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্তদেরকে সেটি মানার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করি। এখন বাংলাদেশে শতকরা ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে এই সিরিয়াল মানা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গা ব্যত্যয় হলে সেগুলোতে আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এবং করব।’