হুইপ সামশুলকে আইনি চিঠি দিলেন আ.লীগ নেতা
মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাব লিমিটেডের মহাসচিব সামশুল হক চৌধুরীর কাছে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী। আজ বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠিটি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন দিদারুল আলম চৌধুরী।
হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর কাছে চিঠিটি পাঠান দিদারুল আলম চৌধুরীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী এস ইউ এম বদরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় ‘চট্টগ্রামে আবাহনীর জুয়া থেকে দৈনিক আয় ৬ লাখ টাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন দিদারুল আলম। প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে সামশুল হক চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সে (দিদারুল) আবাহনী থেকে বহিষ্কার হয়েছে। তার সঙ্গে জায়গাজমি নিয়ে আমার বিরোধ আছে। স্বার্থের জন্য সে আমার পিছে লেগেছে। কিন্তু আবাহনী ক্লাবে কোনো জুয়া বা ক্যাসিনো খেলা হয় না।’ হুইপের এই বক্তব্যটি ডাহা মিথ্যা উল্লেখ করে আইনি চিঠিতে বলা হয়, এ ব্যাপারে কখনো কোনো সিদ্ধান্ত (ক্লাব থেকে বহিষ্কার) হয়নি।
আইনি চিঠিতে বলা হয়, এই বক্তব্য প্রচার হওয়ায় সারা দেশে আইনজীবী বদরুল ইসলামের মক্কেলের (দিদারুল আলম চৌধুরী) সামাজিক ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। হুইপের বক্তব্য মানহানিকর, যা ১০ কোটি টাকার সমান হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করা হয়। নইলে ১০ কোটি টাকার মানহানিকর মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলে আইনি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
দিদারুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হুইপের কাছে চিঠিটি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। ভুল স্বীকার করে মানহানিকর বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে হুইপের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
দিদারুল আলম চৌধুরীর অভিযোগ, আবাহনী ক্লাবকে জুয়ার আখড়ায় পরিণত করেছেন হুইপ। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় হুইপ ও তাঁর ছেলে ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেন দিদারুল আলম চৌধুরী।
যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের সাংসদ ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কোনো উকিল নোটিশ পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কথা বললে গুনাহ। বলি একটা, লেখেন আরেকটা।’