রাজশাহীতে বিজ্ঞান উৎসব
বিজ্ঞানচিন্তা-বিকাশ বিজ্ঞান উৎসবের রাজশাহী অঞ্চলের আয়োজন শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজশাহী কলেজে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে অতিথিরা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. হবিবুর রহমান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উৎসবে বিজ্ঞানচিন্তার পতাকা উত্তোলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন।
বিজ্ঞান সাময়িকী বিজ্ঞানচিন্তা ও দেশের সবচেয়ে বড় মুঠোফোনভিত্তিক আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করছে। সহযোগিতায় থাকছে প্রথম আলো রাজশাহী বন্ধুসভা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, কৌতূহল থেকে বিজ্ঞানের উদ্ভব হয়েছে। এই বিজ্ঞানকে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, প্রথম আলো বরাবরই একটি বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিকাশ এবার এই বিজ্ঞান উৎসবে সহযোগিতা করছে। এ জন্য তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে বিকাশকেও সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক হোক আর অনানুষ্ঠানিকভাবে হোক, সবাইকে বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠতে হবে। ২০৪১ সালে যে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, সেই বাংলাদেশের কান্ডারি হবে আজকের এই উৎসবের অংশগ্রহণকারীরা।’ তিনি বলেন, এটা কোনো পরীক্ষা নয়, এটা বিজ্ঞানের উৎসব। তিনি সবাইকে এই উৎসব উপভোগ করার আহ্বান জানান।
বিকাশ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, প্রথম আলোর সঙ্গে এই বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন করতে পেরে তাঁরা আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কৌতূহল থেকে বিজ্ঞানের সৃষ্টি হয়েছে। এই তোমাদের পায়ে সুন্দর সুন্দর জুতা, সেটিও বিজ্ঞানের অবদান। তোমরা নিশ্চয় বলতে পারবে না, কবে প্রথম এই জুতার যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই বিজ্ঞানকে আজ মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। সে দায়িত্ব তোমাদের।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইকবাল মতিন, বিকাশ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মশিহুর রহমান, দেশসেরা শিক্ষক রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিতাই কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ শাহীন সালেহউদ্দিন, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার, সহসম্পাদক আবদুল গাফফার উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে শিক্ষার্থীদের ২০ মিনিটের পরীক্ষার পর মূল অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। উৎসবে ৫৩টি প্রজেক্ট এসেছে। সেগুলো বিচারের কাজ চলছে।