প্রেমঘটিত পূর্ববিরোধে স্কুলছাত্র খুন
স্কুলছাত্র জাকির হোসেন সানি খুনের ঘটনায় প্রেমঘটিত পূর্ববিরোধের বিষয়টিই উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেন এক আসামি। তাঁর নাম মোহাম্মদ ফয়সাল।
মামলার এজাহারে তাঁর নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িত থাকায় খুলশী থানা-পুলিশ তাঁকে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে।
জাকির হোসেন হত্যা মামলায় এ নিয়ে পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজন কারাগারে রয়েছেন। তাঁরা এখনো জবানবন্দি দেননি।
গত সোমবার দুপুরে নগরের খুলশী থানার ওমরগণি এমইএস কলেজ গেটের বিপরীতে জাকিরকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। সাদা শার্ট পরিহিত স্কুল-কলেজপড়ুয়া কিছু ছেলে তাকে ধাওয়া করে ছুরিকাঘাত করার দৃশ্য রয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায়। নিহত জাকির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কুতুব উদ্দিনের শ্যালক। ঈদুল আজহার আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিল সে।
ঢাকার মিরপুরে একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে জাকির। ঢাকায় যাওয়ার দুই বছর আগে চট্টগ্রামে বোনের বাসায় থাকত। ওই সময় নগরের সারমন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত সে। এই ঘটনায় নিহতের বড় বোন মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ফয়সাল নামের এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে আসামি ফয়সাল স্বীকার করেন, ঘটনার আগের দিন (গত রোববার) জাকিরের সঙ্গে আসামি আনিসের কথা-কাটাকাটি হয় ওমরগণি এমইএস কলেজ এলাকায়। বিষয়টি সুরাহার জন্য পরদিন দুপুরে সেখানে যায় জাকির।
একপর্যায়ে আনিসের সঙ্গে বেয়াদবি করার অজুহাতে কয়েকজন জাকিরকে মারধর করতে শুরু করেন। সেখানে শাফায়েতও ছিলেন। তাঁর সঙ্গে জাকিরের প্রেমঘটিত বিষয়ে পূর্ববিরোধ ছিল।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদ ফয়সালের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম উঠে এসেছে। নাম আসা এসব আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।