ছেলের সঙ্গে অভিমান করে গায়ে আগুন
ভোলায় পারুল বেগম (৩৭) নামের এক নারী গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, ছেলেকে বুঝিয়ে–শুনিয়েও মাদ্রাসায় পাঠাতে পারছিলেন না বলে ক্ষোভে–অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে। পারুল বেগম ওই ইউনিয়নের দালালপুর গ্রামের মৃত ইকবাল পাটোয়ারির স্ত্রী।
পারুল বেগমের ভাই ফরহাদ হোসেন জানান, পারুলের স্বামী মিস্ত্রির কাজ করতেন। দেড় বছর আগে তিনি মারা যান। দুই ছেলে রাব্বি (১৯) ও রবিনকে (১১) নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন পারুল। তাঁর স্বপ্ন ছিল দুই ছেলে পড়াশোনা করবে। বড় ছেলে রাব্বি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলেও ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্নাতক বিভাগে পড়াশোনা করছেন। ছোট ছেলে রবিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী।
ফরহাদ হোসেনের দাবি, রবিন কয়েক দিন ধরে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক এ ব্যাপারে কথা বলতে বাড়ি পর্যন্ত আসেন। অনেক বুঝিয়েও পারুল ছেলেকে মাদ্রাসায় পাঠাতে পারেননি। পরে দুপুরে ঘরের পাশের বাগানে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে লাগিয়ে দেন তিনি। বাগানের ভেতর এক শিশু তা দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ফারজানা খান জানান, পারুল বেগম গুরুতর দগ্ধ হওয়ায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সেখানে যাওয়ার আগেই সন্ধ্যা সাতটায় তিনি মারা যান।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।