২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিড়ালছানা হত্যায় কিশোরীর নামে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ

রাজধানীর মুগদায় বিড়ালছানাকে হত্যা করার মামলায় কিশোরীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে এই মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বদলি করা হয়েছে।

দুই থেকে তিন দিন বয়সী বিড়ালছানা হত্যা করার দায়ে ওই কিশোরীকে অভিযুক্ত করে গত ১২ জুন ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মুগদা থানা-পুলিশ। প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের ৭ ধারায় এই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের কারাদণ্ড।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ওই কিশোরী খিলগাঁও এলাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। বিড়ালছানাকে হত্যা করার ভিডিও গত ১৯ মার্চ ফেসবুকে দেয় ওই কিশোরী। পরদিন ভিডিওটি ফেসবুকে দেখেন জাহিদ হোসেন নামের এক যুবক। তিনি কেয়ার ফরপ’স নামের একটি প্রাণী কল্যাণমূলক সংগঠনের মহাসচিব। সংগঠনের অন্য সদস্যদের নিয়ে ওই কিশোরীর পরিচয় তাঁরা বের করেন। ওই কিশোরীকে আসামিকে জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর ওই কিশোরীকে আইনের আওতায় আনা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে সে জামিন পায়।

কিশোরীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন চন্দ্র দেবনাথ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার পর এসআই নয়ন চন্দ্র ওই কিশোরীর বাসায় যান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী জানায়, গত ১৭ মার্চ দিনের যেকোনো সময় একটা বড় বিড়াল তাদের বাসার খাটের নিচে দুই থেকে তিন দিন বয়সী বিড়ালছানা রেখে যায়। সেদিন রাত ১০টার দিকে সে ছুরি দিয়ে কেটে বিড়াল ছানাকে মেরে ফেলে। সেই দৃশ্য সে তার নিজের মুঠোফোনে ধারণ করে। এর দুই দিন পর ১৯ মার্চ বিড়ালছানা মেরে ফেলার ওই ভিডিও নিজের ফেসবুকে আপলোড করে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, কিশোরী যে মুঠোফোন দিয়ে বিড়াল ছানা মেরে ফেলার ভিডিও করে, তা জব্দ করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে তিনটি ভিডিও ক্লিপ দেখা যায়। যে ছুরি দিয়ে কিশোরী বিড়ালছানাকে মেরে ফেলে, তা–ও উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী জানায়, বিড়ালছানাটি মরে যাওয়ার পর পলিথিনে ভরে সে রেলগেটে ফেলে দিয়ে আসে।

এসআই নয়ন চন্দ্র দেবনাথ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, দুই থেকে তিন দিন বয়সী বিড়ালছানাকে মেরে ফেলার কথা সে স্বীকার করেছে। তবে কিশোরী দাবি করেছিল, সে বিজ্ঞানের ছাত্রী। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সে বিড়াল ছানা কাটে।
ওই কিশোরীর আইনজীবী আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে।

মামলার সাক্ষী ও প্রাণিকল্যাণ সংগঠন কেয়ার ফরপ’সের সদস্য কায়েনাত তাহেরা সুলতানা মঙ্গলবার রাতে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোরী ইচ্ছাকৃতভাবে নিরীহ বিড়ালছানাকে হত্যা করেছে। তা ভিডিও করে আবার ফেসবুকে দিয়েছে।
ওই কিশোরীর শাস্তি চান কায়েনাত তাহেরা সুলতানা।