স্যান্ডেল দেখে মাথাবিহীন মরদেহের পরিচয় মিলল
মাগুরার মহম্মদপুরের পারুয়ারকুল গ্রাম থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক যুবকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নগ্ন লাশের পাশে কেবল একটি স্যান্ডেল পড়ে ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা হিসেবে বিকেলে মাথা ছাড়াই মরদেহটি মাগুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই স্যান্ডেলের সূত্র ধরে যুবকের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবার।
নিহত যুবকের নাম মো. ইমন হোসেন (২২)। তিনি সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের ইসলাম মোল্লার ছেলে।
মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক এস এম আকতার হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মরদেহটিকে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়। সন্ধ্যায় নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসেন। ছবি ও মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া স্যান্ডেল দেখে নিহত ব্যক্তিকে ইমন বলে শনাক্ত করে পরিবার।
যুবকের বাবা ইসলাম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদের আগে বিনোদপুর বাজার থেকে নিজ হাতে ছেলেকে স্যান্ডেলটা কিনে দিই।’ তিনি জানান, ইমন মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা পড়ছিল। কয়েক মাস আগে পড়ালেখা ছেড়ে ঢাকা থেকে ফিরে আসে সে। সর্বশেষ সোমবার রাত আটটার দিকে ছেলের সঙ্গে দেখা হয় বাবার।
ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘রাত আটটার দিকে সিরিজদিয়া বাজারে দেখা হয় ওর সঙ্গে। এক বন্ধুর সঙ্গে বসেছিল। জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে যাবা না বাবা?’ উত্তরে বলেছিল,‘তুমি যাও, পরে আসব।’ ওই শেষ কথা, ‘রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি ছেলে। ভেবেছিলাম, রাতে বন্ধুর বাড়িতে আছে। পরদিন বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি।’ তিনি জানান, এখন মরদেহ উত্তোলন ও ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। অনুমতির অপেক্ষায় আদালতে বসে আছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, পরিবারের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর রাতেই অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন তাঁরা। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করা গেলে মরদেহের বাকি অংশ ও মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।