'গুলিস্তানের বিস্ফোরিত ককটেল অনেক শক্তিশালী'
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গতকাল সোমবার গুলিস্তানে যে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেটি কোনো সাধারণ ককটেল নয়, অনেক শক্তিশালী। এর সঙ্গে যে–ই জড়িত থাকুক না কোনো, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, উগ্রবাদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো মহল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই কাজ করছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইএসের দায় স্বীকারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেটিও দেখা হচ্ছে।
আইএস এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পোস্ট দিয়েছে—এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আইএস বা অন্য কেউ প্রতারণামূলক এ ধরনের পোস্ট দিয়েছে কি না, আমাদের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অ্যান্টিটেররিজম বিশেষজ্ঞরা তা পরীক্ষা করে দেখছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণ হওয়া ককটেলটি সাধারণ ককটেল থেকে ভিন্ন রকম ছিল। কাউন্টার টেররিজম বিস্ফোরণের ধরন, আহত হওয়ার ধরনসহ প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছে। ঘটনাটি আদৌ জঙ্গি–সংশ্লিষ্ট কি না, নাকি সাধারণ অপরাধীরা এটি করেছে, নাকি তৃতীয় কোনো মহল এটি করতে পারে, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনার পর থেকে ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো কাজ চলছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা বিশ্বে বৈশ্বিক যে উগ্রবাদের প্রভাব আছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তবে সংঘবদ্ধ বা বড় ধরনের নাশকতা করার ক্ষমতা তাদের নেই। ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান হামলার পর তাদের বিধ্বস্ত করা হয়েছে। কখনো কখনো তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা করার অপচেষ্টা করে, সেগুলো আমরা নজরদারিতে রাখছি। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, দেশের মানুষের রক্ষার জন্য যেকোনো নৈরাজ্য উগ্রবাদ দমানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
গতকাল রাজধানীর গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। সন্ধ্যায় গুলিস্তান পাতাল সড়কের সামনের বিভাজকের ওপর ওই ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক পুলিশের আহত ওই সদস্যরা হলেন নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. লিটন (৪২) ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্য মো. আশিক (২৮)। নজরুল মাথায় ও অন্যরা পিঠে আঘাত পান। ঘটনার পর আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়।