বরখাস্ত হলেন ডিএনসিসির লাইসেন্স সুপারভাইজার আবদুর রশিদ
নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও দীর্ঘদিন বহাল তবিয়তে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অন্য অভিযোগে বরখাস্ত হলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) লাইসেন্স সুপারভাইজার আবদুর রশিদ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে ডিএনসিসি।
আবদুর রশিদ লেজার কিপার হলেও ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর রাজস্ব বিভাগে লাইসেন্স সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আবদুর রশিদকে বরখাস্তের আদেশ জারি হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা, করপোরেশনের অর্থ আত্মসাৎ, চুরি, তহবিল তছরুপ বা প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নেওয়া, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। উপসহকারী পরিচালক ওমর ফারুক অভিযোগটি দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করছিলেন। রশিদকে দুদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। পরে ওমর ফারুকের বদলে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেনকে।
এর আগে ২০১৪ সালে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, প্রতারণা ও জালিয়াতির ২০টি লিখিত অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার বিভাগে আবেদন করেন এক ব্যক্তি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৮ মে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিনিয়র সহকারী সচিব সরোজ কুমার নাথের স্বাক্ষরে ডিএনসিসিকে একটি চিঠির মাধ্যমে আবদুর রশিদের লেজারকিপার পদে নিয়োগে অনিয়ম, নানা দুর্নীতি এবং কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়। ওই চিঠিতে ডিএনসিসির প্রশাসক/মেয়র এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু গত ৫ বছরেও মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির আলোকে আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ডিএনসিসির কেউই জানেন না।