চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত

সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে জানে আলম নামের এক কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তিনি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-৫–এর ভারপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগের বিস্তারিত তদন্তের জন্য করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌসকে প্রধান করে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রাজস্ব সার্কেল-৫–এর কর কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের সময় জানে আলম ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে একাধিকজনের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে কতজন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত রোববার করপোরেশনের মেয়রকে লিখিত অভিযোগ দেন এক ব্যক্তি। এরপর করপোরেশন প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলা ও গাফিলতির শামিল। এতে করপোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার পরিষদ কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) বিধিমালা ১৯৬৮ সালের ৩(খ) ধারা অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই জানে আলমকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, কর কর্মকর্তা জানে আলমের বিরুদ্ধে করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়া এবং ভুয়া নিয়োগপত্রের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এখন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর তাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে জানে আলমের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রায় দুই বছর আগে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি করপোরেশনের রাজস্ব সার্কেল-২–এর উপ কর কর্মকর্তা আলী আকবরকে ঘুষের ২০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।