মানুষ যেন ঘুমাতে পারেন, সে জন্য পরিশ্রম করছে ডিএমপি
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঢাকা মহানগরী থেকে ভূমিদস্যুতা, সন্ত্রাস, জঙ্গি কার্যক্রম, মাদক, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের শিকর সমূলে উৎপাটন করব।’ ঢাকা মহানগরীর প্রায় ২ কোটি মানুষ যাতে নিরাপদে ঘরে ঘুমাতে পারে, সে জন্য ডিএমপি অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনসাধারণকে নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে ‘পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি উদ্বোধনকালে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জনহয়রানিমূলক যেকোনো কাজের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, জনগণের সেবক। জনগণের প্রতি বলপ্রয়োগ, লাঠি ঘোরানো ও হুমকি-ধমকি প্রয়োগ আমাদের কাজ নয়। এ জন্য সব পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত মোটিভেশন করা হচ্ছে।’
অপরাধ দমনে পুলিশ-জনগণ এক হয়ে কাজ করবে উল্লেখ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। অপরাধ দমনে অশীদারত্বমূলকভাবে জনগণ ও পুলিশ এক হয়ে কাজ করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পুলিশ জনসাধারণকে নিয়ে কাজ করছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঢাকা মহানগরী থেকে ভূমিদস্যুতা, সন্ত্রাস, জঙ্গি কার্যক্রম, মাদক, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের শিকর সমূলে উৎপাটন করব। ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’ কথায় নয় কাজে প্রমাণ করছি। ঢাকা মহানগরীর প্রায় ২ কোটি মানুষ যাতে নিরাপদে ঘরে ঘুমাতে পারে, সে জন্য ডিএমপি অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ঢাকা মহানগরীতে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। এই মহানগরীর প্রায় প্রতিটি জায়গায় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অপরাধীকে দ্রুত সময়ে শনাক্তের জন্য ৮০ লাখ নগরবাসীর তথ্য আমাদের সংরক্ষণে রয়েছে। কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। এর ফলে আমরা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পেরেছি।
রাজধানী ঢাকাকে জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত করার কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্যে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ঢাকা মহানগরী থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের শিকড় উপড়ে ফেলব। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দারা ও থানা-পুলিশ কাজ করছে। ঢাকা শহরে কোনো মাদকের আখড়া থাকলে পুলিশকে খবর দিন। ইতিমধ্যে ঢাকা শহরের মাদকের সব আখড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কোনা সদস্য মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কার্যালয় থেকে পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সামনে দিয়ে বেইলি রোড হয়ে শান্তিনগর ক্রসিংয়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন ডিএমপি কমিশনার।