নীলফামারী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুর
উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবি পূরণ না করায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নীলফামারী সরকারি কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের (এইচএসসি) মানবিকে ২২৫, বিজ্ঞানে ২০০ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মেধাতালিকা অনুযায়ী এ পর্যন্ত মানবিকে ১৭৩, বিজ্ঞানে ১৪৪ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রথম দফায় ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়।
তালিকার মেধাক্রম উপেক্ষা করে কয়েকজন শিক্ষক ভর্তি করাচ্ছেন—এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের নেতারা তাঁদের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবি পূরণ না করায় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কলেজে ভাঙচুর চালান।
অধ্যক্ষ লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেন, মেধাক্রম উপেক্ষা করে ভর্তি করানোর কোনো সুযোগ নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ রকম ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। নিয়মানুযায়ী এখন প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি চলছে। এটি শেষ হলে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে। সেখানে ছাত্রলীগের নেতারা দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার কিছু শিক্ষার্থীর ভর্তির সুপারিশ নিয়ে এসেছেন। এ দাবি মেনে না নেওয়ায় তাঁরা গতকাল সকালে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন।
ছাত্রলীগের নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মনিরুল হাসান অভিযোগ করেন, নিয়ম উপেক্ষা করে কয়েকজন শিক্ষক ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে সাধারণ ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটান। তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নন।