মন্ত্রী ছায়েদুল হক আর নেই
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ছায়েদুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর একমাত্র ছেলে এস এম রায়হানুল হক ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
মন্ত্রী আগস্ট মাস থেকে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সংক্রমণে ভুগছিলেন। ১৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি বিএসএমএমইউর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আগামীকাল রোববার ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকায় মন্ত্রীর জানাজা হবে। মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাফি উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কাল সকাল সাড়ে নয়টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মন্ত্রীর নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে তাঁর লাশ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) উপজেলায় নেওয়া হবে। উপজেলা সদরের আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বেলায় ১১টার তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে উপজেলার পূর্বভাগ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
মন্ত্রী ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ। তিনি পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি প্রথম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সংসদের সাংসদ ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।
ছায়েদুল হক ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো নাসিরনগর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।