বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি: জন কারবি
বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কারবি।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন শেষ হয়েছে, বিরোধীদের দমনপীড়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনা হচ্ছে। দ্য গার্ডিয়ান এই নির্বাচনকে ‘বিরোধীদের ওপর নির্মম দমনপীড়নে আচ্ছন্ন’ বলে চিহ্নিত করেছে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ‘বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ।’
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা আপনি বলেছিলেন। নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি ঘোষণা করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রচারে বাইডেন প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
জবাবে জন কারবি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এখনো বিশ্বজুড়ে কার্যকর ও প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বে বিশ্বাস করি এবং বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমাদের ইচ্ছার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের এ প্রত্যাশার মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
আরেক প্রশ্নে বলা হয়, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তা করা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে ইউনূসের অসামান্য অবদানের কথা বিবেচনা করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি এই বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন?
জবাবে জন কারবি বলেন, তিনি প্রশ্নটি গ্রহণ করেছেন।