মৃত্যুদণ্ডের আসামি মুঈনুদ্দীনের বিষয়ে ব্রিটিশ আদালতের রায়ে নিন্দা আইসিএসএফের

চৌধুরী মঈনুদ্দীনছবি: বিবিসির সৌজন্যে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ)। হতাশা প্রকাশ করে আইসিএসএফ বলেছে, যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত মূলত পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্তিকর।

গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইসিএসএফ এসব কথা উল্লেখ করেছে। স্বাধীন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আইসিএসএফ দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করছে।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে তাঁর ফৌজদারি অপরাধের বর্ণনা যুক্ত করা হয়। তখনকার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল প্রতিবেদনটি টুইটারে (বর্তমানে এক্স) শেয়ার করেন। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেন মুঈনুদ্দীন। মামলাটি ব্রিটিশ হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২০ জুন আদালত অভিযোগটি আমলে নেন এবং মুঈনুদ্দীনকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন।

বিবৃতিতে আইসিএসএফ বলেছে, যুক্তরাজ্য আদালতের এই রায়ে গণহত্যাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারহীনতা নিরসনে বাংলাদেশের কয়েক দশকের প্রচেষ্টার অবমূল্যায়ন হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এসব অপরাধে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও একধরনের বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে এ রায়ের মাধ্যমে।

ওই রায়কে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে আইসিএসএফ বলছে, এর মাধ্যমে কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিজস্ব ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে হেয়প্রতিপন্ন করার একটি নজির স্থাপিত হলো।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সম্পৃক্ততার অভাব শুরু থেকে লক্ষণীয় ছিল বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।