অনেক বেশি খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে গত সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিগত সরকারের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি খরচে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা না করেই ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে খুলনায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ মঙ্গলবার ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে ইউএনডিপির সহযোগিতা চান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বিদ্যুতের পাশাপাশি সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, ৩৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রক্ষেপণ অনুযায়ী এর ঢাকা-ভাঙা অংশে বছরে আয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অথচ গত ছয় মাসে সেখানে আয় হয়েছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকা। এসব প্রকল্প যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাস্তব প্রয়োজনীয়তার নিরিখে গ্রহণ করলে এমন দুরবস্থা হতো না।
বর্তমান সরকার প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করবে, উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, জনগণের প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয়তা, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়, এমন প্রকল্প গ্রহণ করবে। সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়ায় জিটুজি পদ্ধতি প্রাধান্য দেওয়া হবে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ যেন সম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন হবে, কারণ দীর্ঘসূত্রতায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়।
দেশের জ্বালানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও রেল নেটওয়ার্কের উন্নয়ন বিশেষ করে এসব ক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করে ইউএনডিপির প্রতিনিধিদল। তারা সৌরশক্তি, আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও নবায়নযোগ্য অন্যান্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেয়। এ ছাড়া ইতিপূর্বে অনুমোদিত প্রায় ৬০ লাখ ডলারের আর্থিক অনুদান দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন।