রুবিনা আক্তারকে চাপা দেওয়া গাড়িচালককে পুলিশের পাহারায় চিকিৎসা

রুবিনা আক্তারকে চাপা দেওয়ার পর আজহার জাফর শাহের গাড়ি ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রুবিনা আক্তার নামের এক নারীকে চাপা দেওয়া গাড়িচালক আজহার জাফর শাহ এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে পুলিশি প্রহরায় তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন গৃহকর্মী মাহমুদা আক্তার। তবে পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।

গত শুক্রবার একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান রুবিনা আক্তার। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন আজহার জাফর শাহ। রুবিনা গাড়ির নিচে চাপা পড়লেও সেই অবস্থায় এক কিলোমিটারের বেশি চালিয়ে নিয়ে যান তিনি। এতে রুবিনার মৃত্যু হয়। এ সময় গণপিটুনির শিকার হন জাফর শাহ।

আজহার জাফর শাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক। থাকেন রাজধানীর গুলশান এলাকায়। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন আছে কি না, তা কিছু পরীক্ষার পর জানা যাবে।

এদিকে ঘটনার দিন রাতেই  সড়ক পরিবহন আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন রুবিনার ভাই জাকির হোসেন। ওই মামলায় জাফর শাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, চিকিৎসকেরা ছাড়পত্র দিলে তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করার মতো অবস্থা হয়নি।

আরও পড়ুন

পুলিশের ভাষ্যমতে, গাড়িচাপা দেওয়ার পর রুবিনাকে এক কিলোমিটারের বেশি দূর পর্যন্ত কেন টেনে নিয়ে গেলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তার কারণ জানতে চাওয়া হবে। তিনি চাইলে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারতেন। সেই চেষ্টা না করে পালানোর চেষ্টা করলেন কেন, সেই ব্যাখ্যাও চাওয়া হবে।

জাফর শাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০৩ ওয়ার্ডের ৩৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর সেবা করছেন গৃহকর্মী মাহমুদা আক্তার। প্রহরা ও নিরাপত্তায় রয়েছেন একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), একজন কনস্টেবল এবং একজন আনসার সদস্য।

আরও পড়ুন

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে পরিবারের কেউ জাফর শাহের পাশে নেই। যতটুকু জানা গেছে, তাঁর পরিবার বলতে কিছু নেই। একজন গৃহকর্মী তাঁর দেখভাল করতেন।

গৃহকর্মী মাহমুদা আক্তার বলেন, জাফর শাহের মা–বাবা মারা গেছেন। তাঁর স্ত্রী-সন্তানও কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনিই দেখভাল করেন। হাসপাতালেও তিনি জাফর শাহের সেবা করছেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন